এস আই জালাল খাঁনের লাকড়ি সাশ্রয় চুলা আবিস্কার
এস আই জালাল উদ্দিন খাঁন। নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন জনকল্যাণকর ব্যাতিক্রমী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্বল করে চলেছেন। এবার লাকড়ি সাশ্রয় চুলা আবিস্কার করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এস আই জালাল খাঁন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কাকিলাদহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ। গত বছরের শুরুতে তাঁর ওপর ওই ক্যাম্পের দায়িত্ব বর্তায়।
তিনিসহ ২০ এর অধিক পুলিশ সদস্য বর্তমানে ওই ক্যাম্পে কর্মরত। প্রতিমাসে তাদের প্রাত্যহিক খাবার রান্নায় গড়ে ২৮ মণ লাড়কি ব্যবহার হতো।
বৃক্ষনিধন রোধের পাশাপাশি জ্বালানী খরচ সাশ্রয়ের চিন্তা থেকে তিনি মাসাধিককাল আগে ক্যাম্পের রান্নাঘরে লেবার খরচসহ ৫ হাজার টাকা খরচ করে বন্ধু চুলার আদলে একটি চুলা নির্মাণ করেন।
বর্তমানে এস আই জালাল খাঁন উদ্ভাবিত চুলা ব্যবহারে মাসে অবিশ্বাস্য ২৮ মণ লাকড়ির স্থলে মাত্র ৬ মণ লাকড়িতে রান্নার সমুদয় কাজ সম্ভব করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জালাল খাঁন বলেন, দেশের অন্যতম তামাক চাষপ্রবণ এলাকা কুষ্টিয়া। তামাক ঘরের জালানীর কাজে তামাক মৌসুমে বিপুল পরিমানে গো-খাদ্যের বিছালি ও কাঠ ব্যবহার করে তামাক পোড়ানো হয়। তাতে একদিকে যেমন গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়, পাশাপাশি গো-খাদ্যের দাম হুঁ হুঁ করে বাড়ে। অন্যদিকে বিছালির বিকল্প কাঠ ব্যবহার করে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। তা থেকে পরিত্রাণ পেতে এই চুলা তামাক পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করলে তামাকের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে বর্তমান খরচের ৩ গুন সাশ্রয় করা যাবে বলেও তিনি দাবি করেন।